ঐতিহ্যকে লালন করে আমার এ দেশ, বাংলার পুলি পিঠা খেতে লাগে বেশ “এ শ্লোগানকে সামনে রেখে দিন ব্যাপী পালিত হয়েছে কালিয়াকৈরে সফিপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেশীয় পিঠা উৎসব। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় সফিপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
ঐদিন সকালে সফিপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রথমে বাদ্যের সঙ্গে বর্ণিল বেলুন আর শান্তির পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কালিয়াকৈর পৌর ৯ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আহাদ আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযুদ্ধা ওহাব মিয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের সিনিয়র শিক্ষক বশির উদ্দিন,চাপাইর বংশীবদন উুচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন,এ্যাড.বেলায়েত হেসেন সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরা সহ প্রিন্ট ইলেকট্রিক মিডিয়া র্কমীরা ও অভিভাবক বৃন্দ।
তবে দেশিয় পিঠায় ঝাল-টক পিঠাতে ছিল নানা রুচি উৎসবের ৬টি স্টলে প্রায় দুইশ’ পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পিঠাশিল্পীরা। যার মধ্যে ছিল- ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, ঝাল পিঠি, মালপোয়া, মড়ো পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছটি পিঠা, পানতোয়া, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছটিকা পিঠা, চাপড়ি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, র্সূযমুখী পিঠা, ফুল পিঠা, বিরানি পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, দুধরাজ, ফুলঝুরি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের দেশীয় পিঠা। এ সময় উৎসব প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত মঞ্চে সকাল থেকে রাত ৯টা র্পযন্ত চলবে পিঠা উৎসবের পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সহ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পিঠা উৎসবে আসা নমনি রহমান নামের শিক্ষার্থী জানান আমরা অনেক দেশীয় পিঠা চিনি না এবংকি নামও জানিনা তবে এই পিঠা উৎসব মেলায় এসে অনেক পিঠা চিনতে পেরেছি।
অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান বাংলার পিঠা উৎসব কে ধরে রাখতে প্রতিবছর আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন কওে থাকি । এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি । এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশীয় পিঠা গুলোকে চিনতে পারবে শিক্ষার্থীরা ।