বরিশাল

পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় বটি দিয়ে কোপ দিলেন আসামির স্ত্রী

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলায় হত্যা মামলায় আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কৃষ্ণ কান্ত। আসামির স্ত্রী বটি দিয়ে এএসআই কৃষ্ণ কান্তকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছেন। এ ঘটনায় আহত কৃষ্ণ কান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে হত্যা মামলার আসামি মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। মনিরের বাসায় ঢুকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কিন্তু এ সময় মনিরের স্ত্রী কুলসুম বেগম বটি নিয়ে এএসআই কৃষ্ণ কান্তকে এলোপাতাড়ি কোপ দেন। এ ঘটনায় মনির ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে মামুন মেম্বার ওরফে হাতকাটা মামুনের নেতৃত্বে রনি মোল্লা ও তার দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মনির হোসেনসহ কয়েকজন। এদের মধ্যে রনি মোল্লা ওইদিন রাতেই শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রনির বাবা ইয়াসিন মোল্লা বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হোসেন।

তিনি আরও বলেন, হত্যা মামলার আসামি সাইফুল মৃধাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার রাতে সর্শী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তারিক হাসান রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন অফিসার ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাপুর গ্রামে হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামী

মনির হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে গেলে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে এএসআই কৃষ্ণ কান্ত মিত্রের মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে মনিরের সহযোগীরা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আহত এএসআই কে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের- ই বাংলা মেডিকেলে পাঠান।

তিনি আরও বলেন, মনির হোসেনকে নিহত রনি মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একটি নতুন মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেই মামলার প্রধান আসামি তার স্ত্রী কুলসুম বেগম। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker