ঈদের আগে স্থায়ী ঠিকানা পেলো আরও ৩৩ হাজার পরিবার। নতুন ঘর আর নতুন ঠিকানায় এবারের ঈদের আনন্দ উদযাপন করবেন এসব পর পরিবারের লক্ষাধিক সদস্য।
দুই শতাংশ করে জায়গায় গড়ে উঠেছে এসব ঘর। যার প্রতিটিতে রয়েছে দুটি কক্ষ, সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর ও শৌচাগার। প্রতিটি ঘরের চারপাশেই রয়েছে খোলা জায়গা।
সেই জায়গায় চাইলেই শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলের গাছ লাগাতে পারবেন ঘরের বাসিন্দারা। এজন্য প্রয়োজনে সহায়তা দেবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
ঈদের ঠিক আগে এভাবের জমিসহ বাড়ি পাওয়ার আনন্দে ভাসছেন একদিন আগেও ভূমিহীন এসব মানুষ। এই হাসিকেই নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার হিসাবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে এসব পরিবারের হাতে ঘরের মালিকানাসহ দলিল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর, বরগুনা সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সরকার প্রধান শুনেছেন ঘর পাওয়া উপকারভোগী নিঃস্ব এসব মানুষের অনুভূতি।
দেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের ঘর দিয়ে পুনর্বাসনের যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঘর পেলো ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবার।
এবারের ঘর হস্তান্তর শেষে মোট দেড় লাখ গৃহহীন পরিবার সরকারের উপহারের ঘরের মালিক হলেন। পর্যায়ক্রমে ৯ লাখ গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের ঘর উপহার দেয়া হবে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি দেয়া হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.