সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীর জনশূণ্য বাড়িতে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে চলতো জুয়ার আসর

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউপি সদস্য নেতৃত্বে জনশূন্য এক বাড়িতে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। জুয়ার আসরের এমন সংবাদে গত সোমবার পুলিশ প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও জুয়াডীদের আটক করতে হয় ব্যর্থ। তবে প্রশাসন কড়া নজর রেখেছেন বলেও জানা যায়।

স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের (মেইয়া পূর্বপাড়া) গ্রামে আব্দুল বারেক এর জনশূন্য বাড়ীতে গত ৩ মাস ধরে চলছে এই জুয়ার আসর। জনশূন্য সেই বাড়িতে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাকিব হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিয়তই চলতো সেই জুয়ার আসর। তবে এই জুয়ার আসরে স্থানীয় কোন লোক জুয়া খেলতেন না। এখানে এই উপজেলার পাশ্ববর্তী- টাংগাইল, গোপালপুর, ভূয়াপুরের, গাজীপুর, কোনাবাড়ী মত দূর-দুরান্ত জায়গা থেকে লোক এসে এই স্থানে জুয়া খেলতেন। দিনের বেলায় লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হতো এই আসরে। অনেক সময় টাকা পয়সা লাভ-লস নিয়ে জুয়াড়িদের হাতাহাতি সৃষ্টি হত।

এসব অপর্কম দেখে স্থানীয়রা তেমন জোরালো কোন প্রতিবাদ করতে পারনি। পরে জুয়া খেলার এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩ জানুয়ারি  পুলিশ অভিযান চালায়।সেই সময় জুয়াড়িরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে সেই জায়গা থেকে চলে যায়। পরে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, পরিত্যাক্ত বাড়িতে কেউ থাকেনা। সেই বাড়ির মালিক (রামাইলেরের চর) এলাকায় বসবাস করে, এখানে বাড়ি ফাঁকা থাকে। বাহির এলাকা থেকে জুয়ারো এসে এই পরিত্যাক্ত বাড়িতে জুয়া খেলে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলা হতো। এলাকার মেম্বার রাকিব হাসান নিজেই সেই লোকদের এখানের খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এলাকার সবাই জানানে, কিন্তু তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না।

তারা আরো জানান, এই জুয়া খেলার শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকায় বেড়েছে চুরির উপদ্রোপ। সম্প্রতি চুরি হয়ে গেছে কৃষক নজরুল ইসলাম ও আইয়ুব আলীর চারটি গরু। এখানে যেন আর জুয়ার আসর না বসে এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

জুয়ার আসর চালানোর বিষয়ে ইউপি সদস্য রাকিব হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে জুয়া চলে সেটা আমি পুলিশের মাধ্যমে জেনেছি তবে আমি এ জুয়ার সাথে জড়িত না। কেউ যদি আমার সামনে এসে বলতে পারে আমি জড়িত, তাহলে আমি মেনে নিবো। আপনাদের কাজ একটু কাগজে লিখবেন লিখেন। এখন আর কিসের ভয়, বিয়ে করে ছিলাম না, এখন আমি বিয়েসাধি করেছি। লিখলে আর কি হবে।

এ ঘটনায় জনশূন্য বাড়ির মালিকের বৃদ্ধা আব্দুল বারেক এর সাথে ‘মুঠোফোনে যোগাযোগ’ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ মিলেনি।

এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘৪-৫ দিন আগেই সেখানে অভিযান করেছি। কাউকে আটক করতে করা যায়নি। আমরা এ বিষয়ে তৎপর আছি। মাদক ও জুয়ার বিরোদ্ধে জিরো-টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছি।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker