জামালপুরর সরিষাবাড়ীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী এবং বন্ধুদের বিরোদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবারে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহতের পালক মা বানেছা বেগম অঙ্গাতসহ ৯ জনকে আসামী করে সরিষাবাড়ী থানায় নির্যাতন মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪জনকে আটক করেন। আটকৃতরা হলেন- সাকিব হোসেন (১৮), পল্লব হাসান (১৯), সাবেক স্বামী মাহিন ইসলাম (১৯) জয়নাল মিয়া (৪৫)। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া এলাকায় পালক বাবার বাড়িতে গৃহবধূর মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দার পাড়া গ্রামের ফিরোজ আলমের পালিত মেয়ে সোনিয়া আক্তার (১৬)। সোনিয়াকে উপজেলার ডােয়াইল ইউনিয়নের গ্রাম নিখাঁই গ্রামের আলতাফ হােসেনের কাছ থেকে দত্তক নেয় গেন্দার পাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়া। সােনিয়া সেখানেই লালিতপালিত হয়। গত ১০ মাস আগে উপজেলার জগনাথগঞ্জ ঘাট এলাকার মাহিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সােনিয়ার। বিয়ের পর থেকেই ৪ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সােনিয়াকে নির্যাতন কর আসছিল স্বামী মাহিম। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দেড় মাস আগে স্বামীকে তালাক দেয় সােনিয়া। এতালাক দেওয়ার কিছু দিন পর থেকে সােনিয়ার সঙ্গে নিয়মিত মােবাইল যােগাযােগ করে আসছিল মাহিম। একপর্যায়ে মঙ্গলবার সােনিয়াকে ডেকে নিয়ে যায় মাহিম। বহস্পতিবার রাতে মাহিম ও তার কয়েকজন বন্ধু স্থানীয় এক মাদ্রাসার গাছের বাগানে নিয় দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে ঐ গৃহবধূ।
পরে রাতেই তাকে প্রথমে সরিষাবাড়ী এরপর জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে মাহিম ও তার সহযােগিরা পালিয়ে আসে। শুক্রবার হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। পরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাহিম ও তার সহযােগিরা গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাহিমসহ চারজনকে আটক করেন।
নিহত গৃহবধূর মা বানেছা বেগম ও খালা জানান, যৌতুকের ৪ লাখ টাকা না দেওয়ায় সােনিয়াকে নির্যাতন করতাে তার স্বামী মাহিম। নির্যাতন সহ না করতে পেয়ে দেড় মাস আগে তালাক দেয় সোনিয়া। বিয়ের আশ্বাসে আবারো সোনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে মাহিম। কৌশলে সােনিয়াক বাড়ি থেকে ফােনে ডেকে নিয়ে বহস্পতিবার রাতে মাহিম ও বন্ধুরা গণধর্ষণ করে। এই হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মােহাম্মদ মহব্বত কবীর সাংবাদিকদের জানান, এঘটনায় মামলা হয়েছে। মাহিম ইসলাম-সহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। বাকীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.