মুন্সিগঞ্জ

এক্সপ্রেসওয়েতে হার্ট অ্যাটাকে ডাকাতের মৃত্যু!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত তিনটার দিকে মহাসড়কের কেওয়াটখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে আরো দুজন আহত হন।

পুলিশ বলছে, নিহত ঐ ব্যক্তির ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার নাম আব্দুল মালেক ওরফে আব্দুল আলীম(২৯)। তার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিনাপাল এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ঢাকা,গাজিপুর,পটুয়াখালীতে ৪ টি ডাকাতি মামলা ছিল।

ডাকাতির ঘটনায় আহত দুজন হলেন মোহাম্মদ হৃদয় (১৭) ও মোহাম্মদ ইমাম হোসেন(১৮)। হৃদয় ও ইমাম ঢাকার রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার মধ্যরাত থেকেই খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো। সে সময় মহাসড়কের উপর দিয়ে যানবাহন ধীর গতিতে চলছিল। শ্রীনগরের কেওয়াটখালী এলাকার মহাসড়ক এলাকা নিরব ছিল। সেই স্থানে সক্রিয় একটি ডাকাতদল ছুডি, রামদা, চাপাতি নিয়ে সিএনজি, প্রাইভেটকারে ডাকাতরা ডাকাতি করছিল। ডাকাতির সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।পুলিশ আসার খবরে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে।সে সময় ডাকাতদের একজন জ্ঞানহীন অবস্থায় সড়কে পড়েছিল।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিনুল ইসলাম বলেন রাত তিনটার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সুযোগ নিয়ে ডাকাত চক্র সিএনজি, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে ডাকাতি করেছিল। আমাদের টহল দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল টি পালাতে চেষ্টা করে। সেসময় কেওয়াটখালী এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডিভাইডারে ডাকাতদের একজনকে পড়ে থাকতে দেখাযায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড: মারুফা ইসলাম বলেন, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আনা হয়। শুনেছি এদের মধ্যে দুই তরুণ ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। এদের শরীরে সামান্য কাটাছেঁড়া রয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে সে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ডাকাতির ঘটনায় আহত হৃদয় বলেন, রাত দুইটার দিকে তারা ৮ বন্ধু রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে সিএনজিতে করে মাওয়ায় ঘুরতে আসেন। রাত ৩ টার দিকে তাঁরা বাড়িতে ফিরছিলেন। শ্রীনগরের কেওয়াটখালী এলাকা আসলে ৬ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল তাদের পথ অবরুদ্ধ করে। সে সময় তাদের মোবাইল ফোন টাকা-পয়সা সব ছিনিয়ে নেয়। তাদেরকে মারধর করেন। এতে হৃদয় ও তার বন্ধু ইমাম হোসেন আহত হন।

আহত ইমাম হোসেন বলেন, ডাকাত সদস্যের সাথে ধারালো অস্ত্র ছিল। তারা আমার হাতের কব্জির মধ্যে কোপ দিতে চায়। আমি হাত সরিয়ে নিলে আমার আঙ্গুলের মধ্যে কোপ লাগে। তারা আমাদের চোখের সামনে আরো একটি সিএনজি ও একটি প্রাইভেটকারে ডাকাতি করে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডাকাত মৃত পড়েছিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker