গাজীপুর

ফুটওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিজ দিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে

জণ সাধারণের রাস্তা পারাপারে সুবিধার্থে এবং সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা এবং চন্দ্রা টু যমুনাসেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ৬টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে । এছাড়া নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে আরো ২ টি যার অধিকাংশই যথাযথ ব্যবহার করছে না পথচারীরা। সড়কে দুর্ঘটনারোধ কারার জন্য এ ফুট ওভারব্রিজগুলো নির্মাণ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। উঠাবার ব্রিজ ব্যবহার না করে মহাসড়কের আইলেট টপকিয়ে বা ফুট ওভারব্রিজ নীচে থাকা ফুটো দিয়ে প্রতিনিয়ত পার হচ্ছে পথচারীরা ফলে সড়কে দুর্ঘটনাও কমছে না।

সরেজমিনে গিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের নিশ্চিতপুর , পল্লীবিদ্যুৎ বাজার , চন্দ্রা ত্রিমোর ,শ্রিফলতলী বাইপাস, বোর্ডঘর, বাড়ইপাড়ার ফুট ওভারব্রিজগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঐ ফুট ওভারব্রিজ গুলো সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে রয়েছে স্কুল কলেজ ও শিল্প কারখানা ।যারফলে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা ও শিক্ষার্থীসহ ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের ব্যবহারের জন্য। তবে এর যথাযথ ব্যবহার করছে না ব্রিজটি। অধিাকাংশ শিক্ষার্থী এবং অন্যরা মহাসড়কের উপর দিয়েই পারাপার হচ্ছে। অথচ শিক্ষার্থীসহ সবার নিরাপদে পারাপারের জন্য এ ফুট ওভারব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে।

চন্দ্রা ত্রিমোর এলাকার ভেতর রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুল ও কলেজ। এখানে রয়েছে সহস্রাধীক শিক্ষার্থী। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করছে না। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মনিরা তাজনিম সিনথিয়া জানায়, তারাতারি রাস্তা পারাপারের কারণে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করা হয় না। তাই অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই অনেকেই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে না।

ফুটওভার ব্রিজগুলো ফুট ওভারব্রিজগুলো সঠিক ব্যবহার না করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ বাজার এলাকায় ইন্টারস্টফ কারখানার শ্রমিক হেলেনা বেগম বলেন অধিকাংশ ব্রিজগুলোই সঠিক স্থানে নির্মাণ করা হয়নি। সহজ ভাষায় বলা যায়, অপরিকল্পিতভাবে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের যে স্থানগুলোতে পথচারীর সংখ্যা বেশি সেই স্থানগুলোতে ব্রিজগুলো নির্মাণ না করে কিছুটা দূরে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ পথচারীরা সময় বাঁচাতে যত্রতত্র সড়কের উপর দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। জাকির হোসেন নামের এক পথচারী জানান, দিনের বেলায় দুই একজন ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করলেও রাতে কেউ ব্যবহার করে না। কারণ রাতে অধিকাংশ ব্রিজের উপর মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের আড্ডা বসে। পথচারী কেউ একা একা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে পারাপার হতে গেলেই ছিনতাইকারী কিংবা মাদকসেবীদের কবলে পরতে হয়। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রীফলতলী বাইপাস এলাকায় গত মাস দুয়েক আগে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে সড়ক পারাপারের সময় রমেস চন্দ্র নামের ষাঠউর্ধ্ব বয়সী বৃদ্ধ নিহত হয়।

অপরদিকে নতুন নির্মানাধীন পল্লী বিদ্যুৎ বাজার এলাকায় ফুটওভার ব্রিজের নিচে রটের গ্রিল তেরী করে ফুটো বন্ধ করলেও কয়েকদিন না পেরোতেই রাতের অন্ধকারে হাওয়া হয়ে যায় সেই রটের গ্রিল ।যার ফলে শিক্ষার্থীর সহ কারখানার শ্রমিকরা ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত পার হচ্ছে যারফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker