মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মামীর বিরুদ্ধে তার পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নিকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে এ বিষয়ে শিশুটির আপন মামী মেঘলা বেগমের (২৮) বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির পরিবার।
শিশুটির বরাত দিয়ে তার পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সড়ে ৯টার দিকে মদনখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়া শেখের কন্যা জুবাইদা আক্তার (৫) উত্তর মদনখালী ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় যায়। সেখান থেকে তার বড় মামী মেঘলা বেগম তাকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে হাঁসাড়া গ্রামে এনে তাদের বাড়ির পেছনে একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যান।
সেখানে তার হাত-পা বাধার সময় লোকজন চলে আসলে সে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর মেঘলা বেগম শিশুটির মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
এসময় ওই বাড়ির গৃহকর্মীর উপস্থিতি টের পেলে মেঘলা বেগম শিশুটিকে রেখে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করেন। পরে গোঙানির শব্দ পেয়ে এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে দেখে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
অর্ধচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। পরে কিছুটা সুস্থ হলে শিশুটি পুরো ঘটনা খুলে বলে।
এ বিষয়ে মেঘলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পুরো ঘটনা অস্বীকার করেন। পরে হাঁসাড়া এলাকার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মেঘলা বেগম সকাল সাড়ে ৭টায় তার দুই মেয়েকে নিয়ে হাঁসাড়া আল ইহসান মাদ্রাসায় আসেন। সেখানে থেকে তিনি ৭টা ৩৩ মিনিটে বের হয়ে যান।
ফুটেজে দেখা যায়, আবার তিনি সকাল ৯টা ২১ মিনিটের সময় যখন আল ইহসান মাদ্রাসায় আসেন তখন তার সাথে শিশু জুবাইদা রয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে জুবাইদাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সিসি ফুটেজের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর মেঘলা বেগম কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স সন্দেহে নারীকে সাত দিন পর্যবেক্ষণের নির্দেশ
তবে স্থানীয়দের দাবি, তাদের এক সাবেক ভাড়াটিয়ার গোপন সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন মেঘলা বেগম। এই সম্পর্ককে পুঁজি করে সেই ভাড়াটিয়া একাধিকবার ব্ল্যাকমেইল করায় তার পরামর্শে নিজের ভাগ্নিকে অপহরণ করেন তিনি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শিশু জুবাইদাকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।