ঢাকার ধামরাইয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার দুই শ্রমিকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কে তারা ছিলেন বেয়াই-বেয়ান। এক পর্যায়ে বেয়ান বিয়ের জন্য চাপ দেন। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে টাকা-পয়সার পাওনা নিয়েও বিরোধে হয়। এরই জেরে বেয়াই তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান।
এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে র্যব-৪ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শরিফ। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কাচারীকান্দি পাঁচকিস্তা গ্রামের বাসিন্দা।
অপরদিকে নিহত ওই নারীর নাম মমতাজ। তিনিও একই থানার বাসিন্দা। তারা আশুলিয়া কাঠগড়ায় একই পোশাক কারখানায় চাকারি করতেন। শরিফ ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা এবং মমতাজ শ্রমিক।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের নবীনগর র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এই তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শরিফকে ঢাকার কালশী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, শরিফ ও নিহত মমতাজ সম্পর্কে বেয়াই-বেয়ান। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মমতাজ বিয়ের করার জন্য শরিফ চাপ দিয়ে আসছিল। এছাড়া মমতাজ তার পাওনা টাকার জন্য শরিফের সঙ্গে মনোমানিল্য চলছিল। এই ক্ষোভে গত আট জানুয়ারি বেড়াতে নিয়ে ধামরাইয়ের ভুট্টাক্ষেতে তিনি শ্বাসরোধ করে মমতাজকে হত্যা করেন। এরপর ঢাকা, সিলেট, গাজীরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আত্নগোপনে থাকেন।
গ্রেপ্তার শরিফকে ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলো বলেও জানায় র্যাব।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি ধামরাইয়ের কেলিয়ায় ভুট্টা ক্ষেতে অজ্ঞাত হিসেবে মমতাজের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।