ঢাকা

কথা বলতে বলতেই নিজের শরীরে আগুন দিল প্রেমিকা!

প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলেন প্রেমিকা। দগ্ধ প্রেমিকা রাত্রী আক্তারকে (১৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক মো: শরীফকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

দগ্ধ রাত্রী নতুন বান্দুরার মো. রহিমের মেয়ে এবং শরীফ দোহার উপজেলার করিমগঞ্জের মো: সিরাজের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন রাত্রী। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আগুন নেভানোর আগেই দগ্ধ হন রাত্রী। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনার খবর পেয়ে প্রেমিকাকে দেখতে তার বাড়িতে এলে প্রেমিক শরীফকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে শরীফকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

মো: শরীফ জানান, রাত্রীর সঙ্গে তার এক বছরের সম্পর্ক। শুক্রবার রাত্রী তাকে না জানিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। এ নিয়ে মোবাইলে রাত্রীর সঙ্গে রাগারাগি হয় তার। এতে অভিমান করে রাত্রী তার মোবাইলে কল দিয়ে জানায়, এখনই সে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবে। মোবাইলে কথা বলতে বলতেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় রাত্রী। তার চিৎকার শুনে আমি দোহার থেকে বান্দুরা চলে আসি। এসে দেখি রাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।

রাত্রীর ভাই আল আমিন বলেন, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ঈদের পরই ওদের বিয়ে হওয়ার কথা চলছিল। কী কারণে বোন আমার শরীরে আগুন দিল বুঝতে পারছি না।

শরীফের মা শরুফা বেগম বলেন, ঈদের পরই ওদের দুজনের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম। সন্ধ্যায় একসঙ্গে শরীফ আমার সঙ্গে ইফতার করেছে। কী নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে আমরা বলতে পারি না। আমার ছেলে অন্যায় করলে তো আর খবর শুনে ছুটে আসত না।

নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো: ইসমাইল বলেন, ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker