ফুটবল

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বাছাই পর্বের খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় ফুটবল ম্যাচই ধরা হয় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ম্যাচকে। পুরো বিশ্ব এ দুই দলের সমর্থক অনেক বেশি থাকায় এর আকর্ষণও বেশি। কিন্তু সেই ম্যাচেই রীতিমতো কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচ শুরুর চার মিনিট পর স্থগিত করে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন।

রোববার রাতে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গোলশূন্যভাবে চলছিল ম্যাচটি।

তবে ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরের এক লোক মাঠের মাঝে অবস্থান করলে তাকে সেখান থেকে বের হতে বলেন আর্জেন্টিনার আকুনা। এ কথা ক্ষেপে যান সে কর্মকর্তা। পরে ওতামেন্দিও সেখানে যোগ দেন।  এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।

ম্যাচের এ পরিস্থিতিতে লিওনেল মেসি, নেইমার ও ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে তাৎক্ষণিক আলোচনা করে এ পরিস্থিতিতে ম্যাচ না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে কনমেবল থেকে ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ফলে আলবিসেলেস্তারা বর্তমানে ইজেইজায় তাদের টিম হোটেলের ক্যাম্পের বাবলে ফিরে গেছে। এ ম্যাচের ব্যপারে রেফারির সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে না-কি পয়েন্ট হবে তাদের।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে আসা চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে রাতেই ব্রাজিল ছাড়ার আদেশ দিয়েছিলেন দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেই চার খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাতেই বাঁধে বিপত্তি। স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন এসে বাগড়া দেয়। স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি।

অথচ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে এসেছিলেন সে লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় -অ্যাস্টন ভিলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এবং টটেনহাম হটস্পার্সের জিওভান্নি লো সেলসো ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। ক্লাবের হয়ে কমপক্ষে দুই ম্যাচ দর্শক হয়ে থাকতে হবে তাদের। ভেনেজুয়েলায় বাঁধাহীন ভাবে খেললেও ব্রাজিলে নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়ে তারা।

ব্রাজিলে যাওয়ার পর সাও পাওলোর স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের ব্রাজিলিয়ান নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে সরাসরি প্রবেশের অনুমতি নেই ব্রাজিলের বাইরের লোকদের। বিশেষ ক্ষেত্রে বিষয়টিতে ছাড় দেওয়া হয়। তাও ব্রাজিলে প্রবেশের আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।

কিন্তু আর্জেন্টিনার সে চার খেলোয়াড় ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি দেশে ফেরার পর গিয়েছিলেন ভেনেজুয়েলায়। সেখানে এক ম্যাচ খেলার পর আসেন ব্রাজিলে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন না করায় তাদের দেশের ফ্রিতে নির্দেশ দিয়েছিল দাবি সাও পাওলোর স্বাস্থ্য বিভাগ।

কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বর্তমানে সাত ম্যাচের সবকটিতে জিতে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে আর্জেন্টিনা।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker