আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা ব্রাজিলে এলেন। দিন তিনেক থাকলেন, অনুশীলন করলেন। হোটেলে সময় কাটালেন। কোয়ারেন্টিন না মানার জন্য অভিযুক্ত চার খেলোয়াড়কে তখন দেশ থেকে বের না করে দিয়ে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যকর্তাদের কি না হুঁশ হলো ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিট পর!
তবে এ ক্ষেত্রে ব্রাজিল অন্তত কনমেবলের নিয়মকে নিজেদের পক্ষে পাচ্ছে না। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। খেলতে বাধা দেওয়া যাবে না। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট।
সে হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে আর্জেন্টিনাই। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম এইরে দে সান্তা ফে’র সাংবাদিক আন্দ্রেস ইয়োসেন এই ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন একটি টুইটে। যদিও এখনও পয়েন্ট দেওয়া নিয়ে কনমেবল আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এদিকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কনমেবল জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি ও কমিশনার এই ম্যাচের রিপোর্ট জমা দেবেন ফিফার শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির কাছে। এরপর কী হবে না হবে সেটা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ফিফাই সিদ্ধান্ত নেবে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে ফিফার ওপর।