উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ এখন আর যায় না, মাঝে মাঝে আসে!
পহেলা জুলাই থেকেই এই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে।
একঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তাই দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ মিলছে মাত্র ১২ ঘণ্টা! ঠিক কবে থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তারও সদুত্তর দিতে পারছে না বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ বিভাগ।
বৃষ্টিহীন আষাঢ়ে কাট ফাটা রোদ আর গরমের দাপটে জনজীবনে যখন অচল অবস্থা তখন মিলছে না বিদ্যুৎ।
এদিকে, বিদ্যুৎ না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকে।
অস্বাভাবিক ও অসহনীয় লোডশেডিংয়ে তাই ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন নাজেহাল হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন ।
কেবল ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা নয়, পুরো রংপুর বিভাগের আট জেলাতেই চলছে লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা।
সবার মুখে একই কথা- এমন বিদ্যুৎ সংকট এর আগে কখনও দেখেননি কেউ। যতই দিন যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংকট ততই যেন বাড়ছে।
ঠাকুরগাঁওসহ রংপুর বিভাগের আট জেলায় তিন দিনেরও বেশি সময় থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড। এতে অফিসে-আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। জেনারেটর, আইপিএস ও ইউপিএস কোনো কিছুই দিয়েই অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি স্বাভাবিকভাবে চালানো যাচ্ছে না। পচতে শুরু করেছে বাড়ির ফ্রিজের মাছ-মাংস, শাক-সবজি ও ফলমূলও।
ভোর নেই, সকাল নেই, দুপুর নেই, সন্ধ্যা নেই, রাত নেই- বিদ্যুতের আসাযাওয়া চলছে প্রতি একঘন্টা পর পর। কোনো কোনো এলাকায় আধাঘন্টা পরপরও লোডশেডিং দিচ্ছে নেসকো।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কথা বলে জানাযায় ঠাকুরগাঁওয়ে এমন বিদ্যুৎ সংকট এর আগে কখনও হয়নি।তাদের কাছে মনে হয়- এই কারণেই রাত ৮টার মধ্যে মার্কেট, বিপণী বিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল।বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীটা বিষয় ছিল না, সংকট ছিল বলেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম উঠে যাওয়ায় সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ী মহল।
নেসকো সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ। ফলে দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেলেও অর্ধেক সময় বিদ্যুৎহীনই থাকছে ঠাকুরগাঁও।
জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। আর কবে নাগাদ এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তারও সদুত্তর দিতে পারছেন কেউই। একমাত্র অভিযোগ কেন্দ্রের ফোনটি এখন প্রায় সব সময়ই বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সমস্যাটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে প্রশ্নে- সেটা তারাও জানেন না। এজন্য সুনির্দিষ্টভাবে তারাও কিছু বলতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন- নেসকোর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন
মোঃ আলমগীর