জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (১৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
নিহত সোনিয়া উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার দত্তক মেয়ে ও বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল গ্রামের লিপন মিয়ার ছেলে ও গৃহবধূর সাবেক স্বামী মাহিম (১৯), তার সহযোগী দৌলতপুর গ্রামের মো: ফজলুল হকের ছেলে মো: জয়নাল মিয়া (৪৫), মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে পল্লব হাসান (১৮) ও পঞ্চাশি গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাকিব হাসান (১৮)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের গ্রামনিখাইয়ে জন্ম নেওয়া সোনিয়াকে সাতদিন বয়সে তার মামা গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়া দত্তক নেন। তারপর থেকে তিনি মামার পরিচয়ে বড় হন। আটমাস আগে কুলপাল গ্রামের মাহিমের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী মাহিম। দাম্পত্য কলহের কারণে কিছুদিন আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এদিকে বিয়ে ভেঙে গেলেও তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ চলতো। গত মঙ্গলবার সোনিয়ার সাবেক স্বামী মাহিম তাকে দৌলতপুর বন্ধু পল্লবের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান এবং বৃহস্পতিবার রাতভর তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
গৃহবধূ সোনিয়ার মা বানেছা বলেন, তার মেয়ের সাবেক স্বামী মাহিমসহ তার বন্ধুরা ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষন করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে বিষ ঢেলে দেয় তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভূক্ত গৃহবধূর সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বলা যাবে না বলে জানান তিনি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.