জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৃর্ব শত্রুতার জেরে এক মাদ্রাসার ৬০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি পাচির ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী লাভলু মিয়ার বিরুদ্ধে।
গত শনিবার (১৪ মে) রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
মাদ্রাসা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নে করগ্রাম আলহাজ ময়েন উদ্দিন দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। মাদ্রার দক্ষিণ পাশ অরক্ষিত থাকায় প্রায় ছয় মাস আগে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি দেওয়ার নির্মাণ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকে বাঁধা দিয়ে আসছিল একই গ্রামের মৃত মজিদ মন্ডলের ছেলে লাভলু মিয়া।
শনিবার সকালে দেওয়ালটি ভাঙা অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এ নিয়ে লাভলুর সাথে কথা বলতে গেলে উল্টো তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে দেয় তারা। দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে লাভলু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টির পানিতে দেওয়ালের নিচ থেকে মাটি সরে সেটা ভেঙে গেছে। তারা দেওয়ালটি ভাঙে নাই। তিনি আরো বলেন, তার জায়গা পেঁচিয়ে দেওয়াল নির্মান করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বার বার ভেঙে দিতে বললেও তারা দেওয়ালটি সরাইনি বলে তিনি জানান।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা জালাল উদ্দীন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে লাভলু ও তার অনুসারীরা বিরোধীতা করে আসছে। রক্ষিত দক্ষিণ পাশে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি দেওয়ার করা হয়। লাভলু ও তার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে দেওয়ালের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে সেটা ভেঙে ফেলেছে। ভাঙার কারন জানতে গেলে উল্টো আমাদেরকে বকাবকি ও মারধরের হুমকি দেয় বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মহাদান ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জুয়েল জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে শালিশ-বৈঠক সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি। দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে বিষয়টি এখনো জানিনা।
এবিষয়ে মহাদান বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর রবিবার বিকালে বলেন, হাফিজিয়া মাদ্রাসার দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.