প্রবাসী ছেলেদের পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিঁড়ি থেকে নামছিলেন বৃদ্ধ আব্দুল মালেক। তার সঙ্গে ছিলেন এক ছেলের শাশুড়ি ছিলেন। সিঁড়িতেই তাদের ঘোরাও করে ছয়জন দুষ্কৃতি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্দুল মালেকের মুখে স্প্রে করে দেন তারা। এরপর হাতে আঘাত করে ছিনিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা।
আঘাতে ঘটনাস্থলেই পড়েছিলেন আব্দুল মালেক। সঙ্গে থাকা আত্মীয় গিয়ে ব্যাংকে ছিনতাইয়ের খবর দিলে তারা এসে আব্দুল মালেককে উদ্ধার করে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট উধাও
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল মালেক জনতা ব্যাংকের গ্রাহক ছিলেন। তিনি ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের মনোহারা গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে।
আব্দুল মালেকের দাবি, ছিনতাইকারীরা ছয়জন ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন হেলমেট পরা ছিলেন। অন্য তিনজনকে তিনি চিনেছেন বলে দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই তাকে (আব্দুল মালেক) টার্গেট করেছে। তবে ব্যাংকের নিচে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। ব্যাংকের নিচতলায় মার্কেটে লোকজনও ঘটনাটি বুঝতে পারেনি।
আরো পড়ুন: বেশি টাকা দেখে ভয় পেয়ে ট্রাঙ্ক ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা
আহত গ্রাহক আব্দুল মালেক বলেন, আমি তিনজনেক চিনেছি। তারা আমাদের এলাকারই। অন্য তিনজন হেলমেট পরা ছিল। আমি টাকা ফেরতসহ ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। থানায় লিখিত অভিযোগ দিব।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার লুৎফর রহমান বলেন, মালেক ও তার এক নারী আত্মীয় টাকা উত্তোলন করে ব্যাংক ত্যাগ করেন। একটু পরেই ওই নারী এসে বলেন তাদের টাকা ব্যাংকের নিচের সিঁড়ি থেকে ছিনতাই হয়েছে। আমারা সিসি ক্যামেরা চেক করেছি। তবে আমাদের সিসি ক্যামেরা সিঁড়ি পর্যন্ত কাভার করে না।
আরো পড়ুন: অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সাড়ে ১১ কোটি টাকা ছিনতাই
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।