টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় নারীসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ল্যাংড়া বাজার খোকার দহ এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। আহত রফিকুল ইসলাম (৩২), অমিনা খাতুন (৩৫), মোজলেফা বেগম (৪০), মুফিতন (৫০), সারা খাতুন (৪০), আয়েশা (৫৫), মরিয়ম (৪০), জহুরুল ইসলাম (২০) ও মাসুদ রানাকে (২৮) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এবং আব্দুর রাজ্জাককে (৫০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদের এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ল্যাংড়া বাজার খোকার দহ এলাকায় শনিবার দুপুরে মাসুদুল হক মাসুদের ১০-১২ জন মহিলা কর্মী আনারস প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করতে যায়। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সংবাদ পেয়ে পুরুষ কর্মীরা তাদের উদ্ধার করতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে ৯ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ও একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাটিকাটা বাজারে এমন হামলার ঘটনা ঘটায়। একটি হায়েচ গাড়ি ও তিনটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। এর আগেও ৩ ডিসেম্বর এমন ঘটনা ঘটায়।
তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনেও এলাকায় ভোটারদেরকে আতঙ্ক করার উদ্দেশ্যেই, নৌকার প্রার্থীর নেতাকর্মীরা বারবার, আমার নেতাকর্মী ও ভোটারদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের প্রতি আমার বিশেষ আবেদন, নির্বাচন সুষ্ঠ করার লক্ষ্যে তদন্ত স্বাপেক্ষে যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি মানার জন্য উভয় পক্ষকে সচেতন করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। কোনো প্রকার সহিংসতার ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।