গলাচিপায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩ জন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন, নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ জন গলাচিপা পৌরসভার অন্য ২ জন আমখোলা ইউনিয়নের।
গতকাল রাতে পটুয়াখালীতে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।গতকাল রাতে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত রিপোর্টে জানা গেছে, এটাই পটুয়াখালী জেলার একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড।
গতবছর ২০২০ সালে করোনার শুরুর পরে এক বছর আগে ৫ জুলাই ৫১ জন জেলায় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়,এ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৭৯ জন। গতকাল রাতে প্রাপ্ত রিপোর্টে এর মধ্যে সদর-উপজেলায় ১২ জন, কলাপাড়ায়- ১৭ জন, গলাচিপায় ০৩ জন, মির্জাগঞ্জে ০৬ জন, বাউফলে ০৭ জন, দুমকীতে ০১ জন, এবং দশমিনায় ১৪ জন।
এ ছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মোতাহার হোসেন (৭৫) মারা গেছেন।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান , মোতাহার হোসেন গত ৪ জুলাই মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে রেপিড এন্টিজেন টেস্টে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলার মৃতের সংখ্যা ৫৯ জন।
প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সাধারন মানুষ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। অবাধে চলাচল করছে তিন চাকার ইঞ্চিনচালিত যানবাহন। এক সাটার খুলে বেচাকেনা করছে দোকানীরা। করোনা সংক্রমন রোধে জেলায় ২০ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৮৪ ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫৪৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,গলাচিপা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সবাইকে সাবধান ও সচেতন হতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বারবার সবাইকে লকডাউন মেনে চলতে অনুরোধ করছে, মানুষকে সচেতন করতে পাড়া মহল্লা টহল দিচ্ছে। এছাড়াও জনসাধারণের মধ্যে খাবার বিতরণ, মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।