কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনেও রিকশা, ভ্যান আর ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে রয়েছে গলাচিপার বিভিন্ন সড়ক। বেশির ভাগ মানুষই দিচ্ছেন অফিস খোলা থাকাসহ নানা অজুহাত। কেউ বা পা হেঁটে, রিকশা চড়ে ছুটছে বিভিন্ন এলকায়।
প্রতিদিনের মতো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলে থাকলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা হলেও মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য সচেতনতা। মামলা ও আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। হ্যান্ট মাইক নিয়ে সিপিপি এর সদস্যদের মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল থেকে গলাচিপার বিভিন্ন সড়কে, বাজারে,মানুষের অবাধ চলাচল দেখে বোঝার উপায় নেই যে, চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। রয়েছে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল আর সড়কের মোড়ে মানুষের জটলা। বেশির ভাগই মানুষের মুখে একটাই কথা, পেটে খাবার নাই জীবিকার টানে বের হয়েছেন,কেউ কেউ বলছেন বাজার করতে আসছে,কেউ আবার অফিস খোলাসহ নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।
মাত্র সাত দিন না যেতেই কঠোর বিধিনিষেধ অনেকটাই উপেক্ষিত সাধারণ মানুষের মধ্যে, নেই সচেতনতা। রয়েছে তাদের মধ্যে চরম আকারে অসচেতনতার ছাপ। সড়কজুড়ে মানুষের জটলা আর রিকশা ও ভ্যানের চাপ আরও বেড়েছে। কোথাও কোথাও যানজটও দেখা গেছে।
এদিকে গলাচিপায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জন শনাক্ত হয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সবাইকে সাবধান করা হয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রুগী ভর্তির চাপ বেড়েছে।
তবে উপজেলা জুড়ে পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকি চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলামের অধীনে আনসার,পুলিশ, বিজিবি ও সেনবাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে জেল-জরিমানা ।
উপজেলা প্রশাসনের বক্তব্য যারা যৌক্তিক কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন আমরা অবশ্যই তাদের যেতে দিচ্ছি। আর যারা অযথা বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে বিচারকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি এক পাশে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজন জেনে ছাড়া হচ্ছে।শুধু জরিমানা কিংবা আইন প্রয়োগই নয় জনসচেতনতা বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও দেখা গেছে।
উল্লেখ: আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে সোমবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও।