গলাচিপাপটুয়াখালীসারাদেশ

লকডাউন কে পাত্তা দিচ্ছে না গলাচিপার মানুষ

করোনা সংক্রমণ যেনো থামানো যাচ্ছে না কোন ভাবেই দিন দিন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, এর মধ্যে  গত কয়েকদিনের পটুয়াখালী জেলা ও গলাচিপা উপজেলার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা হিসেব করে গলাচিপা উপজেলাকে অনেকটাই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্কও আছে। তবে লকডাউন করা হলেও এলাকার মানুষ যেন সেটা পাত্তাই দিচ্ছেন না।
বিশেষ করে গলাচিপা উপজেলা সদরের ও বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন এলাকার চিত্র দেখে বুঝার উপায়ই নেই যে লকডাউন চলছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে লকডাউন তো দূরের কথা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়াসহ সাধারন নিয়মই যেন তাঁরা মানছেন না। ব্যবসায়ীরা এক শাটার খুলে বেচাকেনা করে প্রশাসনের কেউ কে দেখলেই শাটার বন্ধ করে দেয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মানুষের জটলা, রিকশা, ভ্যানের দখলে সড়ক।
এ প্রসঙ্গে  পুলিশ সুপার (পটুয়াখালী ) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘জনসাধারণকে বুঝতে হবে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজমান। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন মানুষকে ঘরে রাখার জন্য। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সবাইকে নিজ থেকেই এখন ঘরে চলে যাওয়া উচিত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের ন্যায় গলাচিপা  উপজেলায়ও  লকডাউন কার্যকর করতে বার বার  প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন মানার আহবানও জানানো হয়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে গাভীর রাত পর্যন্ত পৌর এলাকার বিভিন্ন রোড,হাট- বাজার, গোলির মোড়, খেয়াঘাট, হাসপাতাল সড়কে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল। অন্যসব দিনের মতোই ওই সড়কগুলো দিয়ে রিকশা ও মোটসাইকেল এবং  ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। বিভিন্নস্থানে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকলেও জনসাধারণের চলাচল বন্ধে খুব একটা তৎপরতা নেই। মানুষের মধ্যেও নেই লকডাউন মানার প্রবণতা নেই সচেতনতা। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে দেখা গেছে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনীর টিম,বিজিবি। বিভিন্ন এলাকায়, হাট বাজার ঘুরে তারা লকডাউন কার্যকর করতে মানুষকে সচেতন করছে অহেতুক যারা ঘোরাঘুরি করে, দোকান খোলা রাখে তাদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নজরুল ইসলাম জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলেন, রাস্তার মুখে পুলিশের গাড়ি প্রবেশের সাথে সাথে চার পাশ থেকে শাটার বন্ধ হওয়ার শব্দ ভেসে আসে। আর তারপরে সেই শাটার খুলে খুলে মানুষকে বের করতে হয়। কোন স্থান থেকে সরে আসলেই আবার জমজমাট বাজার, অনেক দুর থেকেও চায়ের দোকানে আড্ডার শব্দ শুনতে পাওয়া যায় । প্রশাসন ঠিক ভাবে কাজ করছে জেল জরিমানা করা হচ্ছে  কিন্তু জনগণের সহায়তা প্রয়োজন বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে নিজ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ঘরে থাকুন।
এদিকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা রুগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ জন তার মধ্যে গলাচিপা উপজেলায় রয়েছে ৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত ২৭২৫ জন, এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ১৩ জন, সর্বমোট ২৩৮২ জন এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker