পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ভাঙ্গার অভিযোগে শরিয়তুল্লাহ (২০) নামের এক যুবককে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবক চলতি বছর দুমকি সরকারি জনতা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, এর আগে সে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্সের জয় বাংলা চত্ত্বরে জেলা পরিষদের অর্থায়ণে ফাইবার দিয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভাস্কর্যের ওপরে উঠে মাথার অংশ দা দিয়ে কুপিয়ে ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় শব্দ শুনে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা কর্মী ও কোয়ার্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালানোকালে হাতে নাতে তাকে আটক করতে সক্ষম হন।
ধৃত যুবকের বাড়ি উপজেলার দুমকি মাদ্রাসা ব্রিজ এলাকায়। তার পিতার নাম মিজানুর রহমান মৃধা বলে জানা য়ায়।
দুমকি উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের নির্দেশে ধৃত যুবককে ওই রাতেই দুমকি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বাদি হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬/২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে শনিবার কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুমকি উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ভাঙচুরের খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম সকাল দশটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া নির্দেশ দেন।