পটুয়াখালী

গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলেন পুলিশ কর্তার স্ত্রী

পটুয়াখালীতে এক নারী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার পর বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মানসিক বিষণ্ণতা থেকে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জেলার দশমিনা উপজেলার থানা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই নারীর নাম সুমি (৩০)। তিনি ওই এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং তার স্বামী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এই দম্পতির বাড়ি পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলায়।

বাড়ির মালিক জানান, তার তৃতীয় তলা ভবনের নিচ তলায় স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকেন দশমিনা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে সন্তান না হওয়ায় প্রায়ই দুশ্চিন্তা ও পাগলামি করতেন সুমি। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে তার স্বামী স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ছিলেন।

তিনি দাবি করেন, তাদের পারিবারিক কোনো কলহ ছিলনা।

তিনি জানান, ঘটনার দিন সুমি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তিনিসহ সুমির স্বামী ও থানার পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান।

দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার জানিয়েছেন, ওই পুলিশ কর্তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আজ সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, বিয়ের ১২ বছর পরও সন্তান না হওয়ায় মানসিক বিপর্যস্তের কারণে সুমি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সুমি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker