কৃষি ও পরিবেশ

ভৈরবে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকের সফলতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথমবারের মতো পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে। ক্যাপসিকাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষ করে বড় বড় শহরের আশেপাশে সীমিত পরিসরে কৃষক ভাইয়েরা এর চাষ করে থাকে, যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া মিষ্টি মরিচের বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টমেটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।

উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শাহিন। তিনি পেশায় এক জন স্কুল শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদের সঙ্গে তিনি ক্যাপসিকাম আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছেন। 

শহিদুল ইসলাম জানান, ছয় বছর আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে জানতে পারেন পিত্জা তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে এই ক্যাপসিকাম। তখনই তিনি ক্যাপসিকাম চাষের সিদ্ধান্ত নেন। পরে ২০১৭ সালে ৩০০ চারা সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করেন।  

তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমি প্রস্তুত করতে সব মিলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এ মৌসুমে তার দুই লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘এ সবজিটির কদর দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা প্রতিনিয়ত শহিদুল ইসলামকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিচ্ছি। শহরের সাজেদা আলাল জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যাপসিকাম।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker