মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
এবার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মরিচের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা কৃষকের খেত আর আঙিনাজুড়ে এখন শুধু মরিচ আর মরিচ। বর্তমানে বাজারে মরিচের দাম অনেক বেশি। তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গুণগতমানের জন্য হোসেনপুরের মরিচ সারা দেশে বিখ্যাত। এই মরিচ উৎপাদন হয় উপজেলার চর জিনারি, চর হাজিপুর, চর কাটিহারি, সাহেবের চর, চর বিশ্বনাথপুর,চর জামাইলসহ বিভিন্ন স্থানে। উপজেলায় এবার ২শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে।
সোমবার (পহেলা জানুয়ারি)উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের খেতে মরিচ পরিচর্যা ,ক্ষেতের আগাছা নির্মল ও মরিচ গাছের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে বালাইনাশক কীটনাশক প্রয়োগসহ নানান কাজে ব্যস্ত এখন কৃষক।কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ৩০ মণ করে মরিচের ফলন হচ্ছে। শুকানোর পর বিঘাপ্রতি ফলন টিকবে১০ থেকে ১২ মণ। খেত থেকে তুলেই প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ৪হাজার টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি কৃষক পাচ্ছেন ৪০হাজার টাকা। অন্যদিকে ১২ মণ শুকনা মরিচ বিক্রি করে পাবেন ১ লাখ ১৫হাজার টাকা। অবশ্য এক বিঘা জমির মরিচ শুকাতে মজুরি বাবদ সাত-আট হাজার টাকা খরচ হয়।
কৃষকেরা জানান, এবার খেত থেকে উঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা। এক মণ মরিচ খেত থেকে তোলার জন্য শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ২শত টাকা । হাটে নিতে পরিবহন বাবদ আরেক দফা খরচ হচ্ছে। সেই হিসাবে খেত থেকেই যাঁরা পাকা অথবা কাঁচা মরিচ বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাঁরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম সাহজাহান কবির জানান, এবার মরিচের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। এবারও মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাচ্ছেন কৃষক।