প্রকৃতিতে বইছে ঋতুরাজ বসন্তের হাওয়া। তাই কমছে শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা। কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সূর্য, দেখা মিলেছে রোদের। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। তবে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে আবার ঝরতে পারে বৃষ্টি।
এদিকে ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা থেকে বেড়ে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে দিনাজপুরের হিলিতে গত দু’দিন থেকে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার পর শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আবারও কমেছে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা। যার জন্য বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
এদিকে সকাল থেকে ঘনকুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা দিয়েছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।এ ছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।