বিশ্ব

জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি অভিযানে বৃহস্পতিবার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া এএফপির সাংবাদিকরা তীব্র লড়াইয়ের খবর দিয়েছেন। তারা জেনিনের ওপর কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেছেন এবং একাধিক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনিনে বর্তমান মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে আরো ২০ জন।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনী উত্তর পশ্চিম তীরের শহরে কাজ করছে। তবে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, বিশেষ করে শহরের শরণার্থীশিবিরে, যেখানে হাজার হাজার বাসিন্দার পাশাপাশি সশস্ত্র গোষ্ঠী উপস্থিত রয়েছে।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে আছে এবং তাদের সেনারা নিয়মিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে অভিযান চালায়।

এদিকে ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে দুই হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে বলে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সংখ্যাটি এক হাজারের বেশি দাবি করে বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই গাজা উপত্যকা শাসনকারী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুক্ত।

উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ১৭০ ফিলিস্তিনি এবং তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

গাজাভিত্তিক হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়। সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। হামলার জবাবে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইসরায়েল তীব্র হামলা শুরু করে এবং গাজায় স্থল আক্রমণ চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, সাড়ে ১০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি যুদ্ধে নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker