বিশ্ব

বিশেষজ্ঞদের মত যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে পরিকল্পনাহীন ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলমান গাজা অভিযানের সূত্রে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দেওয়ার’ অঙ্গীকার করেছেন। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, ‘পিছু হটার কিছু নেই’। কিন্তু গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ আরো জোরদার হওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন সতর্কতা জারি করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে—এই যুদ্ধ কোন পথে যাচ্ছে এবং এর পরই বা কী হবে?

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েল বলে আসছে, গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে উৎখাত করাই তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু চলমান টানা, অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি প্রয়োগের বাইরে কিভাবে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জন সম্ভব তা স্পষ্ট নয়।

এ ব্যাপারে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের মোশে দায়ান সেন্টারের প্রধান মাইকেল মিলশেটেইন বলেন, ‘আগামী দিনের পরিকল্পনা ছাড়া আপনি এ ধরনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে পারেন না।’ ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান ড. মিলশেটেইনের আশঙ্কা, পরিকল্পনার কাজটি হয়তো শুরুর পর্যায়ে রয়েছে মাত্র।

পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলেছেন, তাঁরা ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে তুমুল আলোচনা চালাচ্ছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই স্পষ্ট নয়। পশ্চিমা এক কূটনীতিক বিবিসির কূটনীতিক প্রতিবেদককে বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বলতে কিছু একদমই নেই।

হয়তো কয়েকটি ধারণার খসড়া করা যায়, কিন্তু সেগুলোকে বাস্তব রূপ দিতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি মাসের কূটনৈতিক তৎপরতা লাগবে। হামাসের সামরিক সক্ষমতা কমানো থেকে গাজা উপত্যকার বিশাল অংশ দখল করার সামরিক পরিকল্পনা রয়েছে; কিন্তু আগের সংকট মোকাবেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইসরায়েলিরা বলছেন, পরিকল্পনা বলতে এটুকুই হয়েছে।

হামাসকে উৎখাতের ব্যাপারে ইসরায়েলিদের মধ্যে কার্যত কোনো দ্বিমত নেই।

তাদের আর গাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হতে দিতে রাজি নয় তারা।

কিন্তু ড. মিলশেটেইনের মতে, হামাস একটি ধারণা। এটা এমন কিছু নয়, যা ইসরায়েলিরা একেবারে মুছে ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা ১৯৪৫ সালের বার্লিনের মতো নয় যে রাইখস্ট্যাগের ছাদে পতাকা উড়ালেন আর কাজ হয়ে গেল।’ ইসরায়েলের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাইম তোমার বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে ফেলার পরের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি টেকসই, কার্যকর পরিকল্পনা আছে বলে আমি মনে করি না।’

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য প্রথমে এক মাসের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত করতেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker