কোভিড-১৯ টিকার প্যাটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে ফাইজার ও এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আরেক টিকা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না। ফাইজার-বায়োএনটেক মডার্নার প্রযুক্তি নকল করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মডার্না জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ও জার্মানির ডাসেলডর্ফের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। মামলায় অনির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির বহু আগে টিকা তৈরির এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার দাবি করেছে মডার্না।
বিবৃতিতে মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফান ব্যানসেল বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির আগের এক দশক ধরে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে যেই এমআরএনএ প্রযুক্তি আমরা তৈরি করেছি, সেটিকে রক্ষা করতেই এই মামলা’।
মডার্নার অভিযোগ, ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের দুইটি প্রযুক্তি অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে।
করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিকারী প্রথম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না।
তবে এই টিকা তৈরিতে যে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত মডার্না।
এই ক্ষেত্রে কাজ করা জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক করোনা মহামারির সময় মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজারের সাথে একত্রিত হয়ে করোনার ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা উদ্ভাবন করে।
মহামারির শুরুর দিকে মডার্না জানিয়েছিল, করোনার টিকা উদ্ভাবনে অন্যদেরকে, বিশেষত স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে মডার্নার প্যাটেন্ট ব্যবহার করতে জোর করবে না তারা।
তবে এবছরের মার্চে তারা জানায়, ফাইজার ও বায়োএনটেকের মতো কোম্পানিগুলো মডার্নার মেধাস্বত্ব অধিকারকে সম্মান করবে বলে আশা করে তারা।
নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রথম দিককার পর্যায়ে প্যাটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বাভাবিক নয়। ইতোমধ্যে একাধিক কোম্পানি ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে প্যাটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে।
মডার্নাও এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে আইনি লড়াই লড়ছে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ-এর সাথে।