শিক্ষা

বই বিতরণে বড়ো সঙ্কটের আশঙ্কা, এখনও শুরু হয়নি ছাপানো

এবারও প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীকে ৩৫ কোটি বই দিতে চায় সরকার। কিন্তু বছরের প্রথম আট মাস শেষ হতে চললেও এখনও শুরু হয়নি বই ছাপানোর কাজ। শুধু তাই নয় ১৩ জুন প্রাথমিকের তৃতীয়, চতুর্থ আর পঞ্চম শ্রেণি, অন্যদিকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অষ্টম, নবম শ্রেণির দরপত্র হলেও এখনও কার্যাদেশ পায়নি মুদ্রণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। 

এদিকে প্রাথমিক আর মাধ্যমিকের আরও কয়েক শ্রেণির দরপত্র আহবান বাকি থাকলেও ২০২৩ সালের বছরের প্রথম দিন প্রায় ৩৫ কোটি বইয়ের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের বই দেয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন মুদ্রণ শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাগজ তৈরির কাঁচামাল পাল্পসহ অন্য উপকরণের খরচ বেড়েছে। তারা পুনরায় দরপত্র আহবান করাসহ খরচ কমাতে নিউজপ্রিন্ট দিয়ে বই ছাপানোর কথা জানিয়েছেন।  

এদিকে সঙ্কট স্বীকার করে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলছেন, পুনরায় দরপত্র আহবান সম্ভব নয়। আর বোর্ড নিউজপ্রিন্ট দিয়ে বই ছাপানোর কথা এখনও ভাবছে না। 

মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, এবার বই দিতে সবচেয়ে বড় সঙ্কট অপেক্ষা করছে। সঠিক সময়ে ৫০ শতাংশ বইও দেয়া যাবে না। 

তিনি বলেন, ডলারের দামের কারণে কাগজ তৈরির প্রধান উপকরণ পাল্পসহ অন্য কাঁচামালের খরচ বেড়েছে।

আম্বার গ্রুপের বিপণন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামন বলেন, বই মুদ্রণে আমরা কাগজের মানের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে আগ্রহী নই।

চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি সামলে নেয়ার চেষ্টা চলছে। নিউজ প্রিন্ট দিয়ে বই ছাপানোর বিষয়ে এখনই ভাবছে না এনসিটিবি।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker