কুড়িগ্রাম

ভাই বোনের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে নদীতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর মরদেহ ফেরত পাঠিয়েছে বিএসএফ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কাশীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই শিশুর মরদেহ গ্রহণ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

জানা গেছে, গত শুক্রবার ভারতের দিল্লি থেকে মৃত পারভীন খাতুন (৮) ও শাকিবুল হাছান ( ৪) তার বাবা-মায়ের সঙ্গে চোরাই পথে বাংলাদেশে ফিরছিল। এ সময় ভারতীয় দালালরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের ভারতের দিনহাটা থানার শুকারু কুটি সীমান্তে নিয়ে আসে। পরে একই দিন রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে পার করার চেষ্টা করে দালাল চক্র। পরে কাটাতার পার করে নদী পথে নিয়ে এসে ভারতের নীলকমল নদীর তীরে তাদের রাখে দালালরা।

এরপর ভারতের শেউটি-১ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখার পর ধাওয়া করে। এ সময় দালালরা তাদেরকে নদী পার হওয়ার জন্য বলে। তখন বাবা রহিচ উদ্দিন মালপত্র নিয়ে নদীতে ঝাপ দেন। এ সময় দুই শিশু মায়ের কাছে ছিল। পরে স্রোতের টানে নিখোঁজ হয় দুই শিশু।

গত রোববার সকালে নদীতে ভেসে উঠে ভাইবোনের মরদেহ। পরে নদীর অংশ ভারতের ভূখণ্ডে হওয়ায় কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় একই দিন সন্তানের মরদেহ ফেরত চেয়ে লালমনিহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বরাবর একটি আবেদন করেন বাবা রইচ উদ্দিন।

এদিকে বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহতদের মামা সাইফুর জানান, রাতেই দুই শিশুর মরদেহ দাফন করা হবে।

এ সময় পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফরিদ উদ্দিনসহ কুড়িগ্রাম পুলিশের এএসপি সুমন রেজা, ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ও ভারতীয় বিএসএফের পক্ষে ছিলেন, ১৯২ ব্যাটালিয়নের সেওটি-১, সেউটি-২ ক্যাম্পের বিএসএফ, সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশ।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker