কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কিশোর গ্যাং দলের বখাটেদের ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির এক ছাত্র গুরুত্বর আহত হয়েছে। উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কুড়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রের নাম রাকিব হাসান (১৬)। সে ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও বাসস্ট্যান্ডের ব্যাপারী মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম এর পুত্র।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত দশটার দিকে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের উত্তর গছিডাঙ্গা এলাকায় বন্ধুদের সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুনতে যায় রাকিব। অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বসার জায়গা ও ভীড়ের মাঝে ধাক্কা ধাক্কি হয় কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সাথে। এর কিছুক্ষণ পরে ভীরের মাঝে রাকিবকে ধারালো ছুরি দিয়ে বাম কাধের কাছে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাকিবকে রাতেই কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই অনুষ্ঠানে রাকিবের সাথে বসা নিয়ে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া বাঁধে এরই এক পর্যায়ে ভীড়ের মাঝে ধাক্কাধাক্কির সময় তাকে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বর্তমান সময়ে ভুরুঙ্গামারীতে কিশোরদের মাঝে অপরাধ প্রবনতা বেড়ে গেছে। এ ঘটনায় সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
আহত রাকিবের বাবা আশরাফুল আলম মুঠোফোনে এ সংবাদ সংগ্রহকারীকে বলেন, আমি এখন কুড়িগ্রাম হাসপাতালে আছি। ভূরুঙ্গামারী ফিরে এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও ক্ষত গভীর হওয়ায় কোন ভাবেই রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।