রাজশাহী শহরে আসলে মনে হবে কোন ইউরোপ আমেরিকার দেশে আছি। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই রাজশাহী নগরীর তালাইমারি থেকে কল্পনা সিনেমা হলের মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় মুক্তঝরা জ্বলজ্বলে আলো ছড়াচ্ছে রাজমুকুটের মতো দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি।
বর্তমানে শহরটিকে সাজানো হয়েছে প্রজাপতি ও রাজমুকুটের মতো দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি দিয়ে। সড়ক বাতিগুলো জ্বলে ওঠার পর শান্তিনগরী হিসেবে পরিচিত এই শহরকে মনে হয় ইউরোপের উন্নত কোনো দেশ, যা দেখে যে কেউই মুগ্ধ হবেন।
জানা গেছে, শহরের আইল্যান্ডে বসানো হয়েছে ১৩০টি পোল। প্রতিটির মাথায় লাগানো হয়েছে ১৩টি করে লাইট। এছাড়া সড়ক সংলগ্ন বাঁধে স্থাপন করা হয়েছে ১৮০টি গার্ডেন লাইটের পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ৫টি অত্যাধুনিক লাইট যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে-নিভবে।
এদিকে আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে ২৮৫টি পোলে বসানো হয়েছে ৫৩০টি অত্যাধুনিক এলইডি লাইট। এছাড়া বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতি সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। এতে ১৭৪টি খুঁটিতে দুটি করে মোট ৩৪৮টি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। যা নজর কাড়ছে সবার।
অনেকে রাতের সেই আলোকসজ্জা দেখতে এসে প্রিয়জনের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি করেছেন সুন্দর কিছু মুহূর্ত। অনেকে দিনের বেলাও উপভোগ করছেন সড়ক বাতির সৌন্দর্য; যা স্বপ্নের নগরীতে নিয়ে যাচ্ছে তাদের।
এদিকে, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে আরও নানা পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো: শরিফুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন, প্রতিটি পোলে সড়কবাতি দেয়া হয়েছে। যেন সড়ক বাতির অভাবে নগরবাসীর কষ্ট না হয়।
চীনের সাংহাই থেকে আনা হয়েছিল প্রজাপতি সড়কবাতি। দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিগুলো লাগাতে সিটি করপোরেশনের খরচ হয়েছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.