নওগাঁর মান্দায় শয়নঘর থেকে গৃহবধূ আমেনা খাতুন (২২) ও তার ছেলে আমির হামজার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় শাশুড়ি এজেদা বিবিকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ময়েন উদ্দিন মৃধা ও শ্বশুর আবেদ আলী পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের গনেশপুর সরদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আমেনা খাতুনের চাচা সাগর মাহমুদ জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ভাতিজি আমেনা খাতুনকে গনেশপুর সরদারপাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জামাইকে ডিসকভার মোটরসাইকেল, সোনার গহনাসহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়া হয়েছিল।
এরপরও টাকার দাবিতে মাঝেমধ্যেই আমেনাকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন জামাই ও পরিবারের লোকজন।
সাগর মাহমুদ আরও জানান, প্রায় তিন মাস আগে আমেনাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই ছিল।
তিন সপ্তাহ আগে গণেশপুর ও শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সালিসের পর আমেনাকে জামাই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আমেনা ও তার দুই বছরের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাগর মাহমুদ।
নিহতের মামা আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাত ১১টার দিকে জামাইবাড়ি গিয়ে শয়নঘরের খাটের ওপর মা ও ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে তারা গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এসময় আমেনার স্বামী ময়েন উদ্দিন ও শ্বশুর আবেদ আলীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সকালে নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মা ও ছেলের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও জানান, কীটনাশক খেয়ে মা-ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালালেও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনায় নিহত আমেনা খাতুনের শাশুড়ি এজেদা বিবিকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.