টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ঝিনাই নদীর পাঁড়ের বাংড়া ইউনিয়নের উত্তর বাগুটিয়া অংশের ভাঙন এলাকা শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বি.কম, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান, কালিহাতী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার।
এ বিষয়ে “ফসল রক্ষায় গ্রামবাসীর সেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণ” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নজরে আসে।
পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী সাংবাদিকদের বলেন, ফসল রক্ষায় গ্রামবাসীর দেয়া বাঁধ খুবই শক্ত ও ভালো। এ অঞ্চলের ফসল রক্ষায় খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসী জরুরী ভিত্তিতে যে বাঁধ দিয়েছে তা অত্যন্ত মজবুত। আশা করছি এবছর আর পানি বাড়বেনা, পানি না বাড়লে বাঁধ উপচে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করবে না। আগামী শুকনো মৌসুমে ভেঙে যাওয়া পাঁড়টি নতুন করে করা হবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর বুধবার ১৩৫ একর আমনের ফসল রক্ষায় অর্ধ লাখের বেশি টাকা খরচ করে বাঁশ, খড়, ত্রিপল ও মাটির বস্তা দিয়ে বিশেষভাবে বাঁধ নির্মাণ করেন গ্রামবাসী। বিগত ২০১৯ সালে ঝিনাই নদীর এ অংশে পাঁড় ভেঙ্গে যায়। সে বছর স্থানীয় প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান বাঁশের হালকা বাঁধ দিয়েছিলো। গত ২৯ আগস্ট রোববার নদীর পানি বেড়ে বাগুটিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া চকে প্রবেশ করে আমনের জমি তলিয়ে যায়। গ্রামবাসী বাঁধ নির্মাণ করলে জমি থেকে পানি নেমে যায়। এ বাঁধ না হলে উপজেলার পূর্ব মধ্যাঞ্চলের আমন ধানের আবাদ হুমকিতে পড়তো। পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে বা উপচে ফসলি জমি আবারও তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফসল ও জমি রক্ষায় জরুরী ব্যবস্থা ও ব্লকের বাঁধ চায় গ্রামবাসী।