নুশরাত জাহান মালিহা / পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বায়োচার এক ধরনের চারকোল বা কয়লা যা পাইরোলাইসিস (সীমিত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অক্সিজেনবিহীন তাপের) পদ্ধতির সাহায্যে বিভিন্ন জৈব পদার্থ, যেমন- ধানের তুষ, কাঠের গুঁড়া, কাঠ, মুরগির বিষ্ঠা এমনকি নালা-নর্দমার বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনা থেকে তৈরি করা হয়।পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভগের আয়োজনে উক্ত বিভাগের সেমিনার কক্ষে ২৯ জুন, মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বর্জ্য আবর্জনা থেকে বায়োচার উৎপাদন শীর্ষক’ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালী) উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ। উক্ত ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. শামীম মিয়া। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, রিসার্স এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম। ওয়ার্কশপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও দুমকি উপজেলার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। এ জনবহুল দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক বাস্তবায়ন দুমকি ও এর আশেপাশের এলাকা বিশেষ করে পটুয়াখালী অঞ্চলকে বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এ বর্জ্য আবর্জনা থেকে বায়োচার’ তৈরি সহ বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য আমাদের আরো গবেষণা করতে হবে। যাতে করে আমরা এ বর্জ্য আবর্জনা সঠিকভাবে ব্যবহার করে কৃষিখাতে কাজে লাগাতে পারি। কৃষির উন্নয়ন বায়োচার নিয়ে যুবসমাজকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উক্ত ওয়ার্কশপটি শেষ করেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.