মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
প্রতিদিন ভোরে সাইকেলের প্যাডেল মেরে ১০ কি.মি রাস্তা পারি দিয়ে উপজেলা শহর থেকে পত্রিকা নিয়ে হোসেনপুর নতুন বাজার, আড়াইবাড়ীয়া, গোবিন্দপুর,বাকচান্দা বাজার, জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের কালিবাজার, সুরাটি বাজারে পত্রিকা বিলি করে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়ায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত এমনকি ঝড়ের দিনেও তার পত্রিকা বিলি বন্ধ নেই। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বলছি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের হারেঞ্জা গ্রামের পত্রিকার হকার মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক এর কথা। জানা গেছে,পত্রিকা বিক্রি করছেন ১৫ বছর ধরে। প্রতিদিন ছোট বড় ২৫০-৩০০ কপি পত্রিকা তিনি বিক্রি করতে পারেন। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক প্রায় ২৫০জন গ্রাহক রয়েছে তার। এভাবে তিনি মাসে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো আয় করেন। যা দিয়ে কোনোমতে বাবা মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে খেয়ে-পড়ে চলছেন তার সংসার।
পত্রিকা বিক্রি করেই ছেলেমেয়েদের করেছেন উচ্চশিক্ষিত তার বড় মেয়ে বান্দরবান সরকারি মেডিকেল কলেজে এ নার্সিং কোর্স এ লেখাপড়া করছেন, দুই ছেলেও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছে। রফিক জানান, ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি,আগের মতো পত্রিকা এখন চলে না। অনেক কষ্টে দিনকাল চলছে। এ ব্যবসা করে চলা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন কি করবো ৬-৭ ঘণ্টা পত্রিকার ব্যবসা করে পাশাপাশি যদি অন্য কিছু করা যায় তাহলে চলা যাবে অন্যথায় পরিবার পরিজন নিয়ে চলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে হোসেনপুর পত্রিকা এজেন্ট মোহাম্মদ আলী আতাব বলেন, হকার রফিক খুব ভালো মানুষ সে দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকা বিক্রি করছেন বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি অনেক কমেছে এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।