পাইকারি থেকে খুচরা, সব পর্যায়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা হারে বেড়েছে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্টসহ বিভিন্ন নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম।
পাইকাররা বলছেন, পণ্যের কমতি না থাকলেও বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিসহ দেশে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে কাঁচামাল আমদানির খরচ ও উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অনেক।
সরেজমিন রাজধানীর চকবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম ওজনের একটি লাক্স সাবানের দাম মাস খানেক আগেও ছিল ৩৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের এখন সেই লাক্স সাবান কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আর এ সাবান যখন তারা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন তখন তার দাম ধরা হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
অপরদিকে একটি ব্র্যান্ডের এক কেজি ওজনের এক প্যাকেট গুঁড়া সাবানের দাম পাইকারিতে বেড়েছে অন্তত ৪০ টাকা। দাম বাড়তির তালিকায় বাদ যায়নি কোনো ট্রয়লেটট্রিজ পণ্যও।
অবস্থা এমন যে, একজন ক্রেতা যদি কাপড় কাচার জন্য এক কেজি গুঁড়া সাবান, থালাবাসন ধোয়ার জন্য আধা লিটার তরল সাবান, একটি সুগন্ধি সাবান, এক বোতল শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট কেনেন, তাহলে ব্যয় হবে ৬৫৭ টাকা। যা এক আগের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি। অর্থাৎ এই কয়েকটি পণ্য কেনার পেছনে আগের বাজেটের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি খরচ করতে হবে ক্রেতাদের।
খুচরা ক্রেতারা জানান, যে দাম ধরে দেওয়া হচ্ছে সেই দামেই তারা পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা গেছে, দেশে সাবান ও সমজাতীয় পণ্যের বাজারের আকার বর্তমানে ৭৭ হাজার ৩৮২ টন। যা টাকার অঙ্কে দুই হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব পণ্যে দাম অযৌক্তিক হারে বাড়ানো হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। তাই বিশ্ববাজারের দামের পরিস্থিতি আর দেশে উৎপাদন খরচের সঙ্গে ব্যবধান খুঁজে যৌক্তিক দাম বেঁধে দেয়া এখন সময়ের দাবি।