বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মো: সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের কার্যাকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকিার্টে রিট অবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
প্রজ্ঞাপন স্থগিতের পাশাপাশি মো: সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মো: সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর রাষ্ট্রপতি পদে তাকে যোগ্য ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, “১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদে মো: সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২)(ছ)এর সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৯ ধারা মিলিয়ে পড়লে দেখা যায়, মো: সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ। ফলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো: সাহাবিুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন অবৈধ এবং অকার্যকর।”
এই আইনজীবী আরো বলেন, “আরো কিছু যুক্তিতে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফারাহ মাবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। মো. আবদুল হামিদের পর তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নিবেন।