যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্স দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিইস) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিআরটিএ অফিসের ভেতর মশা প্রজননের অনুকূল পরিবেশ দেখে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ শনিবার মশা নিধনে মিরপুর এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রমে গিয়ে এ কথা বলেন মেয়র আতিক।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মিরপুরের বিআরটিএ অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিআরটিএ যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
আতিক আরও বলেন, ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিস কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মশা নিধনে বিশেষ অভিযানের কথা জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর—এই ৬টি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশা নিধনে আজ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই বাড়িসহ তার আশপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেয়রের পরিদর্শনকালে বিআরটিএ অফিসের পেছনে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে হবে।
ডিএনসিসির মেয়র আরও বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্যই লজ্জা পরিহার করে সবাই মিলে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’—এই স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।