মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে। এ যেন চির বিলুপ্ত হওয়া কোনো বস্তু এমনটিই বুঝা যাচ্ছে প্রসন্ন জনমনে। শুক্র ও শনিবার দুপুরের রুদ্রতাপে ফাল্গুনী আভাস মিলছে। রাতে শীতের ঝাঁপাঝাপি থাকলেও তাপমাত্রা বেশি না কমলেও দিনে সূর্যের আলোয় উষ্ণতার পরশ পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। কর্মজীবীদের কাজে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ঝলমলে রোদে স্বস্তি এসেছে জনমানুষের মনে। গায়ের মোটা কাপড় ফেলে নিঃশ্বাস ছাড়ছেন তারা। হোসেনপুরে টানা সাত দিনের ঠান্ডায় কাবু হয়ে যাওয়া অনেককেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সূর্যের আলো পোহাতে দেখা যায়। সড়কে বেড়ে যায় মানুষের চলাচল।গোসলের দিকে ঝুঁকছেন শীতে গোসল বিমুখ মানুষগুলি।
চর আলগী বোরো মাঠের সেলুইঞ্জিনের লাইনম্যান রুমান বলেন, গত কয়েক দিনে ঠান্ডাটা মারাত্মকভাবে মানুষকে কাবু করছে।কৃষি জমিতে পানি ছারতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অন্যান্য বছরে এত শীত পড়েনি। দুদিনের রোদে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি, সূর্যের তাপটা খুবই মিষ্টি লাগছে।
অন্যদিকে সূর্য ওঠার পরে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে নামতে দেখা গেছে অনেককেই। হাটবাজার ও গ্রামগুলিতে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। সেই সঙ্গে গৃহিণীরা কাপড় ধোঁয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোকজন ঘরের বাইরে এসে রোদ পোহাচ্ছেন। রিকশাচালক রমজান বলেন, গত কয়েক দিনের শীতে রিকশা চালাতে পারছি না। দুদিন সূর্য দেখা দেওয়ায় আবহাওয়াটা ভালো লাগছে,উপার্জনও হচ্ছে বেশ।