ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরীকে ২ মাস আটকে রাখে পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন ও তার বন্ধু

 ঠাকুরগাঁও মো: আলমগীর প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরীকে ২ মাস আটকে রাখে কনস্টেবল আল-আমিন ও তার বন্ধু রবিউল। এসময় কিশোরী নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। 
ভুক্তভোগী কিশোরী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কনস্টেবল আল-আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানে ছেলে। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকুরী করেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে।
রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২ টায় কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আল আমিনকে ১ নাম্বার ও রবিউলকে ২ নাম্বার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরআগে দুপুর বেলা শহরের হাজিপাড়া এলাকার হিরণ ম্যাচ থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে রবিউল আটক হয়। অপর আসামি আল আমিন পলাতক রয়েছে। 
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আল- আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাদে ফেলে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ৫ দিন রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। আমি নিশ্চিত হই সে প্রতারক। আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই। বার বার তাকে অনুরোধ করি। কিন্তু আল-আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে। ২ মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছে। ধর্ষণ করেছে। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে হঠাত একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার মেয়েকে কখনও রবিউলের বোনের বাসায়, কখনও মহিলা ম্যাচে, কখনওবা কক্সবাজার নিয়ে গেছে। প্রায় তিনটি মাস পর একটি মহিলা ম্যাচ থেকে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই। 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, দুপুর ১২ টার সময় একটি মহিলা ম্যাচ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরী মেয়েটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এবিষয়ে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দোষী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker