বাড়ির পাশেই আখ ক্ষেত, ৭ বছরে শিশু বাপ্পি আখ খেতে গেলে তাকে হাত -পা বেধে গরুর গোবরের স্তুপে ফেলে দেয় এবং গোবর জোর করে খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
বীরগঞ্জ উপজেলার ১নং শিবরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আরাজি লস্করায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ২০ শে আগস্ট দুপুরে রিদয় (২৬), পিতা নুর ইসলাম, গ্রাম আরাজি লস্করা শিশু বাপ্পিকে আখ খাওয়ার অপরাধে রাস্তা থেকে বাসায় নিয়ে যায় এবং হাত -পা বেধে মার-ধোর করে এবং জোর করে গোবর খাইয়ে দেয়। পরে তার মা বাবলি আক্তার কেন মারছে বিষয় জানতে চাইলে তাকে-ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
এবিষয়ে বাপ্পির মা বাবলি আক্তার বলে আমার বাচ্চা একটা আখ খাইছে এর জন্য আমার বাচ্চাকে গাছের সাথে বেধে মারেছে আর গোবর খাইয়ে দিয়েছে এর কারণ জানতে চাইলে আমাকে মারধোর করে।
আমি এর বিচার চাই, এই বিচার দেখে যেনো আর কেউ কোনো বাচ্চাকে মারতে না পরে।
পরে বাপ্পির পিতা নাজমুলর কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানাইলে তারা বলে আগে আমার বাচ্চার চিকিৎসা করাতে। বাচ্চা সুস্থ হলে তারা এর বিচার করবে, কিন্তু এখন চেয়ারম্যান মেম্বার টাকার কাছে বিক্রি হয়ে তালবাহানা শুরু করে দিয়েছে, তারিখ দিয়েও তারা আসে নাই, আমি কি করবো বুঝতে পারছি , রিদয়ের ভয়ে আতংকে আছি। কিন্তু আমরা থানায় এখনো মামলা করিনি।
পরে রিদয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি,পরে রিদয়ের মায়ের কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে বাপ্পিকে মার বিষয় ও গোবর খাওয়ানো ঘটনা মিথ্যা, শুধু বাচ্চার গায়ে গোবর মেখে দিয়েছে একটু বলে তিনি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মালা খান বলে, ওই বাচ্চা সহ পরিষদে গেছিলো বাচ্চার চিকিৎসার জন্য হসপিটালে পাঠানো হয়েছিলো।
১ নং শিবরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কার্তিক রায়ের কাছে জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান ঘটনার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন ও আরো বলেন আমি এতো ঠেকে যাই নাই যে বাসায় গিয়ে বিচার করবো ও তাদের পরিষদে আসতে বলছি, তারা আসে নাই।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.