ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিষপানে বিথী আক্তার (১৫) নামে এক অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (০২ জুলাই) বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
বিষপানে মৃত বিথী আক্তার উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামপাড়া গ্রামের মো. কাইয়ুমের মেয়ে। বিথী ভান্ডারদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের সুভানপাড়া গ্রামের শাহাজত আলীর ছেলে সুমন ইসলাম (৩২) এর সাথে বিথীর বড় বোনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে সুমন দুই সন্তানের জনক। কিছুদিন আগে বিথী তার দুলাভাই সুমন ইসলাম এর সাথে পালিয়ে যায়। পরে ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে যোগাযোগ করে ঢাকা থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয় ও এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ মিমাংসা করে মেয়েটিকে তাদের বাবা-মায়ের কাছে ও ছেলেকে ছেলের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকে মেয়েটি বাড়িতে থাকতে চাইতো না সে তার দুলাভাইয়ের কাছে যাওয়ার জন্য উন্মাদ ছিলো।
শনিবার দুপুরের দিকে মেয়েটি বিষপান করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। দুলাভাইয়ের সাথে মেয়েটির সম্পর্ক হওয়ার কারণেই হয়তো সে বিষপান করেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি বলেন, “ওই মেয়েটি কিছুদিন আগে তার দুলাভাই সুমন ইসলামের সাথে চলে যায়। পরে তাদের ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে এসে সালিশ ও মীমাংসা করে ছেলেকে ছেলের পরিবারে ও মেয়েকে মেয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ হঠাৎ শুনতে পাই মেয়েটি বিষ পানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
দুলাভাইয়ের সাথে প্রেম সম্পর্ক ঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমনটি হলেও হতে পারে। দুলাভাই ও শালীর মধ্যে সম্পর্ক না থাকলে মেয়েটি তার কাছে যাবে কেন।
বিষপানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, ‘কি কারণে আত্মহত্যার কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে ও লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.