ঠাকুরগাঁও

পীরগঞ্জে ওয়াশ ব্লক নির্মান কাজে বাঁশ ব্যবহারের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ডিগ্রী কলেজে ওয়াশ ব্লক নির্মান কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশের বাতা ব্যবহার করার কোন তথ্য খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের নেতৃত্বে নির্মান কাজ সরে জমিন তদন্ত করেন ৩ সদস্যে ঐ তদন্ত কমিটি। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আখতারুল ইসলাম, জাবরহাট কলেজের অধ্যক্ষ করিমুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক তৈয়ব আলী সহ স্থানীয় গন্যমান্য উপস্থিতিতে তারা ওয়াশ  ব্লকের  জন্য নির্মিত স্লাব (ঢাকনা) গুলো ভেঙ্গে পরীক্ষা করে দেখেন, সেখানে লোহার রড ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁশের বাতা ব্যবহার করার কোন অস্তিত্ব পাননি তারা। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা প্রকৌশলী শামীম আকতার ও  উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সুত্র ধরে তদন্তে যান তারা। গিয়ে স্লাব ভেঙ্গে দেখা যায় লোহার রড় ব্যবহার করা হয়েছে। বাশেঁর বাতা দিয়ে তৈরী করা কোন স্লাব তারা খুঁজে পাননি।

উপজেলা প্রকৌশলী শামীম আকতার বলেন, তার দপ্তরের কাজের মানের সাথে কোন আপোষ করা হয় না। নিয়ম মেনেই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জাবরহাট কলেজের ওয়াশ  ব্লকের  বাশেঁর বাতা দিয়ে তৈরী করা কোন স্লাব তারা খুঁজে পাননি।

কলেজের সহকারি অধ্যাপক তৈয়ব আলী বলেন, বাশেঁর বাতা দিয়ে তৈরী করা যে স্লাবটি তারা দেখেছিলেন এবং ছবি তুলে রখেছেন, তদন্তের সময় সেখানে সেটি ছিল না। এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনার ৩ দিন পর তদন্ত করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে আসলে সেই স্লাবটি হয়তো পাওয়া যেত।

ঠিকাদার ফারুক হোসেন জানান, দেড় ফিট বাই এক ফিট মাপের যে স্লাবে বাঁশের বাতার কথা বলা হচ্ছে তাতে ৫ কেজিও রড় লাগবে না। এটার দাম কত। একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার হিসেবে তার কাছে এটা লজ্জার। অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে বিপদে ফেলতে এ কাজ করা হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, বাশেঁর বাতা দিয়ে তৈরী করা যে স্লাবের কথা বলা হয়েছে তা সেখানে পাওয়া যায়নি। হয়ত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ওয়াশ  ব্লকের  অন্যান্য কাজগুলি যাচাই করা হয়েছে, তা ঠিক আছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৭ লাখ টাকায় জাবরহাট ডিগ্রী কলেজে নির্মানাধীন ওয়াশ  ব্লকের  জন্য তৈরী করা একটি স্লাবে (ঢাকনা) বাশেঁর বাতা দেখতে পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker