রংপুরের বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। সেইসঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমসহ কাঁচামরিচের দাম। তবে দাম কমেছে আলুসহ কিছু সবজির। এছাড়া চাল, ডাল, তেল ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। গত দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ১৭০-১৮০ টাকা। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬০-৪৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকা। যা তিন সপ্তাহে আগে বিক্রি হয়েছিল ৩৮-৪০ টাকা।
নগরীর মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমীর হোসেন আল-আমিন বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এছাড়া সামনে রমজান। এসব ইস্যু পুঁজি করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিক, গরুর মাংসের বাজারেও কোনো সুখবর নেই। গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, গাজর ৫-১০ টাকা কমে ২৫-৩০ টাকা, শসা আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০-১২০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিমের কেজি ২৫-৩০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা পিস এবং ফুলকপি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আদা আগের মতোই ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে নতুন আসা মিষ্টি আলু ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৯০-১০০ টাকা এবং মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৮-২০ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ২০ টাকা থেকে কমে ১৬-১৮ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা এবং দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৬৮-৭০ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।