জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বারইপটল শহীদনগর হত্যাকান্ড দিবস পালিত হয়েছে। সরিষাবাড়ী নাগরিক কমিটি অনুষ্ঠানটি পালন উপলক্ষে গত শনিবার সকালে পিংনা ইউনিয়নের বারইপটল-ফুলদহেরপাড়া এলাকার শহীদ বেদি প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু, হুমায়ুন বাঙ্গাল, ইন্তাজ আলী, মিনহাজ উদ্দিন, সুজাত আলী ফকির, হুমায়ুন, পিংনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা আওয়ামীলীগ সরকারে উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা শহীদদের সম্মানে বারইপটল শহীদনগরে ষ্টেশনে সকল ট্রেনের বিরতি দেওয়ার দাবি জানান। আলোচনা শেষে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ বাঁধে। এতে মুক্তি বাহিনীর আমিনুল ইসলাম, আশরফুর রহমান বাদশা, আলী আশরাফ, জহুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, বাদশা মিয়া, আ. জব্বার, তোফাজ্জল হোসেন, জোদা লাল গোস্বামী, জোদা লালের স্ত্রী, বাঙ্গালী ঠাকুর, বাহা আলী, আব্দুল মালেক, জসিম উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, জুলু শেখ, আবুল হোসেন, কোরবান আলী, নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রী সুনীল চন্দ্র, বিচিত্র কুমার দে, খন্দকার নুরুল আমিন, নুরুল ইসলাম, দুদু মিয়া, মতিয়ার, আ. হালিম, আয়েন উদ্দিন, কাঙ্গালীয়া, তোফাজ্জল হোসেন তুফাইনা, জামাত আলী, আনোয়ার হোসেন, ইয়ারু শেখ, কাবিল শেখ, মুসলিম উদ্দিন, হাসমত আলী, সেকান্দর আলী, সতু শেখ শহীদ হন। যুদ্ধ চলাকালে নিরীহ আরো ১৮ ব্যক্তি নিহত হন। কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার মজনু কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।