ঝিনাইদহ

কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০ টাকা!

ঈদের বাজারে এবার সবচেয়ে আলোচনায় কাঁচা মরিচ। ঈদের আগে থেকে দাম বাড়তে শুরু করে মরিচের। দাম নিয়ন্ত্রণে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দুই দিন আমদানির পর ঈদের ছুটির কারণে বন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে অনেক মরিচক্ষেতে পানি ওঠায় মরিচ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। এতে জোগান কমেছে। ঈদের আগ থেকে বাজারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল কাঁচা মরিচ। এবার সব দামের রেকর্ড ভেঙে এক হাজার ছুঁলো কাঁচা মরিচ।

সম্পর্কিত সংবাদ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পৌর বাজারে এই দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। তবে অন্য বাজারগুলোতে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি জেলা শহরের বাজারেও সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

শনিবার সকালে শৈলকুপার পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন এক হাজার টাকা।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, বর্ষা মৌসুমে পানির কারণে মরিচের গাছ মরে গেছে। ফলে এ সময় প্রতিবছর কাঁচা মরিচের দাম একটু বৃদ্ধি পায়। তবে এত বেশি দাম কখনো দেখেননি তারা।

ওই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রেজাউল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকালে পাইকারি বাজার থেকে ১৫ কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি ৮৫০ টাকা দরে। বিক্রি করছি এক হাজার টাকা কেজিতে। কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।’

ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, দুই দিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রাতারাতি দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়।

কাঁচা মরিচ কিনতে এসে শুকনা মরিচ কিনেছেন অতিস কুমার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার জীবনে কাঁচা মরিচের এত দাম শুনিনি। কিনতে এসেছিলাম কাঁচা মরিচ। এক হাজার টাকা কেজি শুনে শুকনা মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলায় এক হাজার ৭২৪ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী জানান, বর্ষা মৌসুমের কারণে অধিকাংশ জমির মরিচের গাছ নষ্ট হওয়ায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকায় দাম একটু বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker