টাঙ্গাইলধর্ম

টাঙ্গাইলে বিজয়া দশমীতে চোখের জলে প্রতীমা বিসর্জন

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় এক হাজার ২৬২টি পূজামন্ডপে বিজয়া দশমীতে চোখের জলে ঘট বিসর্জন ও প্রতীমা নিরঞ্জন করা হয়। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে সিঁদুর খেলার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নদী, পুকুর ও বাড়ির আঙিনার ডোবায় প্রতীমা বিসর্জন শুরু হয়। বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের পাঁচদিনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

সনাতন ধর্ম মতে, আজ দশভুজা দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন। তবে আবারও ভক্তদের কাছে দিয়ে গেলেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গীকার। তাই আবারও মর্ত্যলোকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানান। আবার ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে আনন্দও ছিল। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিজয়া দশমীতে ঘট বিসর্জন ও প্রতীমা নিরঞ্জন করা হয়।

এর আগে দুপুরে শহর এলাকার পূজামন্ডপে থেকে প্রতীমাগুলো ভক্ত-অনুসারীরা ছোট-বড় ট্রাকে উঠিয়ে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। নদী ঘাটে নৌকায় তুলে প্রতীমা ঘুরিয়ে নিরঞ্জন করা হয়। তারও আগে পান্তাভাত খাইয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়।

টাঙ্গাইলে করোনা সংকটের টানা দুই বছর পর এবার বেশ বড় পরিসরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। বিজয়া দশমীর শেষ দিনে তাই প্রতীমা বিসর্জন শেষ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, শোভাযাত্রা ও গান বাজানো নিষিদ্ধ ও এলাকায় বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে।

প্রকাশ, এবছর টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় এক হাজার ২৬২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২০৯টি, বাসাইলে ৬৩টি, সখিপুরে ৪৪টি, মির্জাপুরে ২৫৫টি, নাগরপুরে ১৩৪টি, দেলদুয়ারে ১২৬টি, গোপালপুরে ৪৯টি, ভূঞাপুরে ৩৭টি, কালিহাতীতে ১৮৮টি, ঘাটাইলে ৭৫টি, মধুপুরে ৪৯টি ও ধনবাড়ীতে ৩৩টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। গত বছর এ পূজা মন্ডপে সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৪০টি।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker