টাঙ্গাইল

সিপনের উপর হামলার প্রতিবাদে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সদর উপজলোর বেলটিয়াবাড়ী গ্রামের ব্যবসায়ী শিপন মিয়ার উপর হামলাকারীদরে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতবিার বেলটিয়াবাড়ী মোড়ে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন কয়েকশত নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এতে বক্তব্য রাখেন গালা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শিখা রাণি সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ও অজিত কুমার দাস, রমজান আলী সরকার, খন্দকার শাহজাহান, বলেটিয়াবাড়ী জামিয়া ফারুকীয়া মসজদি ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুল কদ্দুছ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৮ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার সন্ধ্যার ৬ টার পর শিমু, সোহাগ, টিপুর বাহিনীর একদল সন্ত্রাসীরা শিপনকে রাস্তায় পেয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় শিপনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে থেকে তার হাতের রগ কাটা পরেছে বলে জানায়। গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অপারেশন করতে প্রায় ৮ ঘন্টা সময় লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শিপনকে।

ঐ এলাকার বাসি জানা, ঘটনার মূল হোতা, সেলিম খানের মেয়ে শিমু খুবই বেপরোয়া এবং উৎশৃংখল। শিমু মেয়েটি এতটাই বেপরোয়া যে, পুরুষ কেউও হারমানায়। যখন ঘটনাটি ঘটায় তখন কমরে ওড়না বেঁধে একদল ইয়াং ছেলের সঙ্গে নিয়ে, শিপনকে ধাওয়া করে, এসময় শিপন বাঁচার তাগিদে দৌড়াতে থাকে তাতেও রক্ষা পায়নি শিপন নির্মম ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।

এলাকার লোক আরো জানায়, সে এমনভাবে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে ছিল, তখন শিমুর হাতে ছিল, দা,আর বলতেছিল যে কে আসবি আয়, আজকে সব শেষ করে রেখে যাব। তারপরে শিপনকে দেখতে পেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
ঐ এলাকার লোকজন জানায় আমরা মনে করেছিলাম শিপনকে শুধু ভয় দেখিয়ে রেখে গেছে, পরবর্তীতে দেখতে পায় শিপন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে।
শাহজাদা শাহ্ শফি বলেন, বেলটিয়া গ্রামের মো: সেলিম বিডিআর (অব:) এর মেয়ে শিমু ও তার ছেলে সোহাগ, আক্তারুজ্জামানের ছেলে টিপুর, সুপরিকল্পিতভাবেই আঘাত করেছে।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, এই ঘটনায় ১০ জানুয়ারি শিপনরে বড় ভাই মিঠুন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলা জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলশি।
মামলার তদন্তকারী র্কমর্কতা (এসআই) মফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। আসামীদরে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker