আবহাওয়া ও জলবায়ুকিশোরগঞ্জ

কনকনে শীত জন-জীবন ভোগান্তিতে

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

জানুয়ারির প্রথম থেকেই বাড়ছে শীত। পৌষের শেষের শীতে কাঁপছে দেশ। কিশোরগঞ্জও বাদ পড়েনি সেই কাঁপুনি থেকে। সূর্য যেন ছুটিতে গেছে। রোদ বের হলেও বড্ড মলিন মুখে উত্তাপহীন দিন পার করেছে।

ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় কিশোরগঞ্জ জেলার জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে রাতের বেলাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির পড়ছে থাকছে দিনের কয়েক প্রহর।কয়েক দিন ধরে ঠিকমত দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। দিনের বেলায়ও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। শীত জনিত রোগে বাড়ছে রোগির সংখ্যা।

Image

এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষদের। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলুখেত বিড়ম্বনায় বোরোধান রোপনে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে গরু-ছাগল। প্রাণীগুলোর শীতজনিত রোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সকালে জেলার হোসেনপুর উপজেলার  বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশিরবিন্দু। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলমান শীতের তীব্রতা কমার কোনো সম্ভবনা নেই। বরং এ সপ্তাহে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker